গত ৩ এপ্রিল বিকেল ৪ টায় পাবনা জেলার কাশীনাথপুরস্থ শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল সোস্যাইটি ও স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের যৌথ উদ্যোগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ১০০ ঘণ্টা (আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ ২০০৯ উদযাপনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প) উদযাপিত হয়। এ উপলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এফ. আর সরকার (শূন্য অভিকর্ষ ত্বরণে অভিজ্ঞতা অর্জনকারী একমাত্র বাংলাদেশি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আলী আজগর, কৃষি বিজ্ঞানী ড. ফরিদা বেগম ও হাসিনা রহমান সরকার।
ঐ দিন বিকেল ৪ টা থেকে শুরু হয় ওয়াটার রকেট উৎপেণ, চিত্র প্রদর্শন, প্রশ্নোত্তর পর্ব, আলোচনা সভা । প্রশ্নোত্তর পর্বে শিার্থীদের আকাশ সম্পর্কিত মজার মজার প্রশ্নের জবাব দেন ড. আলী আজগর ও এফ. আর সরকার। সন্ধ্যার পরে টেলিস্কোপের সাহায্যে উপস্থিত দর্শকদের আকাশ পর্যবেণ করানো হয় এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিার্থী ও কৌতুহলী জনতা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ওয়াটার রকেট উৎপেণসহ আকাশ পর্যবেণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৬০৯ সালে ইতালীর প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালেলিও গ্যালিলি কর্তৃক টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্ব পর্যবেণের ৪০০ বছর পূর্তি উপলে ও সারা বিশ্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার ল্েয জাতিসংঘ ২০০৯ সনকে ‘আন্তর্জাতিক জ্যোতিবিজ্ঞান বর্ষ’০৯ হিসেবে ঘোষণা করেন। জাতিসংঘের শিা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ ‘টঘঊঝঈঙ’ ও ‘আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা’ যৌথভাবে এটি বর্ষব্যাপী উদ্যাপনের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই উদ্যাপনের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘মহাবিশ্ব আপনার আবিষ্কারের জন্য’। বিশ্বের প্রায় ১৩৬টি রাষ্ট্র ও ৩২টি আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংগঠন এই উদ্যাপনে সদস্য হয়েছ, এছাড়া উদ্যাপন কার্যক্রমকে আরো ফলপ্রসূ করতে ১১টি মহাকাশ সংগঠনের নিজস্ব প্রকল্প, ১১টি টাস্ক গ্র“প ও ৬টি বিশেষ প্রকল্প পুরো জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ উদ্যাপনের সাথে সহায়ক কার্যক্রম হিসেবে কাজ করছে।
কুয়াশা ডানায় মেখে উড়ে যায়
শুদ্ধবনের চিল
আহা চিল!
কুয়াশার সবটুকু তুমি নিয়ে নিলে
পড়ে থাকে আবছায়া দিন
তখনও বিমলিন রোদে
নদীজলে ডিঙা বায় একাকী পরানমাঝি
অমীয় মেঘে ঢেকে যায় পুর্ণিমা চাঁদ......
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
শুদ্ধবনের চিল
আহা চিল!
কুয়াশার সবটুকু তুমি নিয়ে নিলে
পড়ে থাকে আবছায়া দিন
তখনও বিমলিন রোদে
নদীজলে ডিঙা বায় একাকী পরানমাঝি
অমীয় মেঘে ঢেকে যায় পুর্ণিমা চাঁদ......
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
রাত্রিকাব্য থেমে গেলে পর প্রাত্যহিক সকাল যায়
আবর্তিত বিকেলে... আরক্তিক এই সব বিকেল
আমরণ মেলে দেয় ডানা। দুই বাহু টান টান...
দরোজা- উঠান।
উন্মুখ হয়ে বসে থাকা...
কপালের টিপকে আড়াল করে প্রাংশু চুল
লখিন্দরের ভেলা ভেসে যায় অনিবার্য জীবনাভিমুখে।
জীবনের রং বদলায়-- সবুজ, নীল,স্বচ্ছ থেকে
ধূসর ক্রমশ...
পুনশ্চ:
এবং দূ্রের আলো হাতছানি দিয়ে ডাকে--
অথচ নিরুপায়... ও ধারে যেতে মানা...
কাঁটাতার বিস্তির্ণ...
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
আবর্তিত বিকেলে... আরক্তিক এই সব বিকেল
আমরণ মেলে দেয় ডানা। দুই বাহু টান টান...
দরোজা- উঠান।
উন্মুখ হয়ে বসে থাকা...
কপালের টিপকে আড়াল করে প্রাংশু চুল
লখিন্দরের ভেলা ভেসে যায় অনিবার্য জীবনাভিমুখে।
জীবনের রং বদলায়-- সবুজ, নীল,স্বচ্ছ থেকে
ধূসর ক্রমশ...
পুনশ্চ:
এবং দূ্রের আলো হাতছানি দিয়ে ডাকে--
অথচ নিরুপায়... ও ধারে যেতে মানা...
কাঁটাতার বিস্তির্ণ...
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
পুকুরের পানি বিশুদ্ধ করার বিজ্ঞানসম্মত বিধি
অনুসরণ করেও আমরা ডুব দিতে পারি না পুকুরে।
পুকুরের শ্যামল দেহে সোনালী আগুন; উদ্ গত নবীন
আগুনের ফনায় দৃশ্য আর দৃশ্যান্তরে গড়ে ওঠে কিছু চিতা।
আমরা সবাই একদিন ঐ পুকুরের খোল থেকে
বেরিয়ে আসি; পূত-পবিত্র হই...
ও পুকুর, তোমার গোলাঘরের জরায়ুতে জীবনের
প্রতিপাদ্য সংরক্ষণ কর।
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
অনুসরণ করেও আমরা ডুব দিতে পারি না পুকুরে।
পুকুরের শ্যামল দেহে সোনালী আগুন; উদ্ গত নবীন
আগুনের ফনায় দৃশ্য আর দৃশ্যান্তরে গড়ে ওঠে কিছু চিতা।
আমরা সবাই একদিন ঐ পুকুরের খোল থেকে
বেরিয়ে আসি; পূত-পবিত্র হই...
ও পুকুর, তোমার গোলাঘরের জরায়ুতে জীবনের
প্রতিপাদ্য সংরক্ষণ কর।
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
খাঁচার অচীন পাখী ধরতে না পেরে
প্রভাতের মনোরম আলোয়
দলে দলে ঘুরি;
পুকুরে ঝাপ দিয়ে সাঁতার কেটে
বোবা জলে ঢেউ তুলি...
তবুও
পাখীটির সোনার শরীরে এখন ক্রিকেটের রান,
আর খাঁচায় উড়াতে থাকি ঘুড়ি সারাদিনমান।
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
প্রভাতের মনোরম আলোয়
দলে দলে ঘুরি;
পুকুরে ঝাপ দিয়ে সাঁতার কেটে
বোবা জলে ঢেউ তুলি...
তবুও
পাখীটির সোনার শরীরে এখন ক্রিকেটের রান,
আর খাঁচায় উড়াতে থাকি ঘুড়ি সারাদিনমান।
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
বাংলাদেশের একমাত্র শিশু-কিশোর লিটলম্যাগ কাকতাড়ুয়া জন্য লেখা আহবান করছি। বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩য় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা লেখা পাঠাতে পারবে। লেখা প্রকাশ হলে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় পত্রিকা পাঠিয়ে দেয়া হবে। লেখা পাঠাবার ঠিকানা
Alaul Hossain
Head Teacher
Skylark International School
Kashinathpur, Pabna.
E-mail: alaulskylark@gmail.com
Cell: 01915656996.
Alaul Hossain
Head Teacher
Skylark International School
Kashinathpur, Pabna.
E-mail: alaulskylark@gmail.com
Cell: 01915656996.
ছায়া ঘেরা গ্রামের তৃণলতা
ভাল লাগে না তোমার সেকি কথা
গ্রামের সুন্দর বৃরে ছায়া।
দেখে তোমার মনে আসবে মায়া।
দেখবে তুমি সুন্দর দিঘি ও নদী নালা।
দেখবে তুমি সুন্দর দিঘি ও নদী নালা।
চোখে পড়বে খেটে খাওয়া মানুষ আর গাছপালা
আমার গায়ের ছোট নদী
তোমার মন ভরে যাবে দেখে নদী
পায়ের নিচে পড়ে সবুজ নরম ঘাস
প্রার্থনা মোর থেকো ভাল
এটাই যে আমার আশার আলো।
মো. রূপম খান
৭ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
ভাল লাগে না তোমার সেকি কথা
গ্রামের সুন্দর বৃরে ছায়া।
দেখে তোমার মনে আসবে মায়া।
দেখবে তুমি সুন্দর দিঘি ও নদী নালা।
দেখবে তুমি সুন্দর দিঘি ও নদী নালা।
চোখে পড়বে খেটে খাওয়া মানুষ আর গাছপালা
আমার গায়ের ছোট নদী
তোমার মন ভরে যাবে দেখে নদী
পায়ের নিচে পড়ে সবুজ নরম ঘাস
প্রার্থনা মোর থেকো ভাল
এটাই যে আমার আশার আলো।
মো. রূপম খান
৭ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
বাংলাদেশ আমার মায়ের দেশ
আমি এই মায়ের দেশে জন্মেছি।
আমাদের মা তাঁর সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট করে থাকেন।
আমার মায়ের মত আর কেউ নেই।
আমার মায়ের ভাষা বাংলা
তাই আমরা মায়ের মুখের ভাষার সাথে আমরা কথা বলি
মায়ের চেয়ে পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না।
এই মাটির সাথে মিশিয়ে আছে আমাদের মায়ের পরস।
আমাদের এই মায়ের ভাষার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি।
আমাদের মায়ের এই মধুর ভাষাকে আমাদের সম্মান করতে হবে।
আমার দেশের মাটি,
আমার মা সনোর চেয়ে খাঁটি।
মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাহ্মুদ (ফিরোজ)
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
আমি এই মায়ের দেশে জন্মেছি।
আমাদের মা তাঁর সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট করে থাকেন।
আমার মায়ের মত আর কেউ নেই।
আমার মায়ের ভাষা বাংলা
তাই আমরা মায়ের মুখের ভাষার সাথে আমরা কথা বলি
মায়ের চেয়ে পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না।
এই মাটির সাথে মিশিয়ে আছে আমাদের মায়ের পরস।
আমাদের এই মায়ের ভাষার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি।
আমাদের মায়ের এই মধুর ভাষাকে আমাদের সম্মান করতে হবে।
আমার দেশের মাটি,
আমার মা সনোর চেয়ে খাঁটি।
মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাহ্মুদ (ফিরোজ)
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
আমার দেশের সুন্দর ধরণি
আমার দেশের সবুজ-শ্যামল
কান্তিতে জুড়ায় সবার হৃদয়
এই দেশেরই মাটিতে জন্মে
ধন্য আমার জীবন
আমার দেশের নদী, মাঠ-ঘাট,
সুন্দর পাখি সবুজ বন
আমার দেশের কৃষক ছেলে
মধুর বাঁশি বাজায় সুরে
সুজলা-সফলা, শস্য-শ্যামলা আমার দেশের প্রকৃতি।
মোছা. খাইরুন নেছা (ছনিয়া)
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
আমার দেশের সবুজ-শ্যামল
কান্তিতে জুড়ায় সবার হৃদয়
এই দেশেরই মাটিতে জন্মে
ধন্য আমার জীবন
আমার দেশের নদী, মাঠ-ঘাট,
সুন্দর পাখি সবুজ বন
আমার দেশের কৃষক ছেলে
মধুর বাঁশি বাজায় সুরে
সুজলা-সফলা, শস্য-শ্যামলা আমার দেশের প্রকৃতি।
মোছা. খাইরুন নেছা (ছনিয়া)
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
আমার দেশের মাটি ওভাই
সোনার চেয়েও খাঁটি।
এই মাটিতে জন্ম আমার
এই মাটিতে মরি।
আামার দেশের মাটির মত
আর কোন মাটি নেই,
এই কথাটি বলতে আমার
কোনই বাধা নেই।
এই মাটিতে বাস করি সবাই একসাথে।
এই মাটির জন্য জীবন দিতে
প্রস্তুত থাকব সবে।
তাওহীদ মাহমুদ উল্লাস
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
সোনার চেয়েও খাঁটি।
এই মাটিতে জন্ম আমার
এই মাটিতে মরি।
আামার দেশের মাটির মত
আর কোন মাটি নেই,
এই কথাটি বলতে আমার
কোনই বাধা নেই।
এই মাটিতে বাস করি সবাই একসাথে।
এই মাটির জন্য জীবন দিতে
প্রস্তুত থাকব সবে।
তাওহীদ মাহমুদ উল্লাস
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
আমাদের দেশ সব চেয়ে সেরা,
এ দেশে জন্ম নিয়ে ধন্য হয়েছি মোরা।
আমাদের দেশ স্বাধীন সেরা দেশ,
এ দেশেই যেন মোর মৃত্যু হয়।
সবুজ সেরা আমার এই দেশ,
শস্য শ্যামল এই আমাদের বাংলাদেশ।
লুবনা বিনতে মো¯তফা
৫ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
এ দেশে জন্ম নিয়ে ধন্য হয়েছি মোরা।
আমাদের দেশ স্বাধীন সেরা দেশ,
এ দেশেই যেন মোর মৃত্যু হয়।
সবুজ সেরা আমার এই দেশ,
শস্য শ্যামল এই আমাদের বাংলাদেশ।
লুবনা বিনতে মো¯তফা
৫ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
সবচেয়ে আমার ভাল লাগে
প্রিয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি
ভাল লাগে মাতৃভূমি।
জন্মেছি এই দেশে
গর্ব আমার এই যে
সবচেয়ে আমার ভাল লাগে
প্রিয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের গান যে আমর করে দিশেহারা
তাই ভালবাসি আমার প্রিয় বাংলাদেশকে।
কাজী মনিরা ফেরদৌস
সপ্তম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
প্রিয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি
ভাল লাগে মাতৃভূমি।
জন্মেছি এই দেশে
গর্ব আমার এই যে
সবচেয়ে আমার ভাল লাগে
প্রিয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের গান যে আমর করে দিশেহারা
তাই ভালবাসি আমার প্রিয় বাংলাদেশকে।
কাজী মনিরা ফেরদৌস
সপ্তম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
একুশ মোদের মাথার মুকুট
একুশ মোদের গর্ব।
একুশের জন্য অনেকে দিয়েছে
বুকের তাজা রক্ত।
অনেকে দিয়েছে প্রাণ বিসর্জন
অনেকে খেয়েছে গুলি।
এরই জন্য আমরা সবাই
বাংলায় কথা বলি।
বাংলা মোদের অহংকর
বাংলা জন্মভূমি।
বাংলা মোদের মাতৃভাষা
ভুলবনা কোনদিনই।
কাজী ফারহানা জাহান মিম
৫ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
একুশ মোদের গর্ব।
একুশের জন্য অনেকে দিয়েছে
বুকের তাজা রক্ত।
অনেকে দিয়েছে প্রাণ বিসর্জন
অনেকে খেয়েছে গুলি।
এরই জন্য আমরা সবাই
বাংলায় কথা বলি।
বাংলা মোদের অহংকর
বাংলা জন্মভূমি।
বাংলা মোদের মাতৃভাষা
ভুলবনা কোনদিনই।
কাজী ফারহানা জাহান মিম
৫ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
কুয়াশা ডানায় মেখে উড়ে যায় শুদ্ধবনের চিল
আহা চিল!
কুয়াশার সবটুকু তুমি নিয়ে নিলে
পড়ে থাকে আবছায়া দিন
তখনও বিমলিন রোদে
নদীজলে ডিঙা বায় একাকী পরাণমাঝি
অমিয় মেঘে ঢেকে যায় পূর্ণিমা চাঁদ
লালনমন বিষণ করে বাজে বিরহের বাঁশি
কিশোরীখোঁপায় দোলে বিরহিনী ফাঁদ...
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
আহা চিল!
কুয়াশার সবটুকু তুমি নিয়ে নিলে
পড়ে থাকে আবছায়া দিন
তখনও বিমলিন রোদে
নদীজলে ডিঙা বায় একাকী পরাণমাঝি
অমিয় মেঘে ঢেকে যায় পূর্ণিমা চাঁদ
লালনমন বিষণ করে বাজে বিরহের বাঁশি
কিশোরীখোঁপায় দোলে বিরহিনী ফাঁদ...
আলাউল হোসেন
প্রধান শিক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
কাউম ও হাসু সম্পর্কিত জটিলতা
আলাউল হোসেন
ভোরের আলো আঙিনায় আসার সাথে সাথে অনেকেরই মনে নতুন কোন প্রাপ্তির প্রত্যাশায় পূলক লাগে। গতকাল কিংবা গতরাতের মধুর কোন স্মৃাত নতুন দিনের শুরুতে আর একবার কারো মনে পড়লে পুলকের রেশটুকু ধরে শুধু শুরু হয় নতুন দিনের যাত্রা। এরকম পুলক ওর মনেও লাগে প্রতিদিন সকালে। ওর নাম কাউম। ওর পুরো নাম কাউম কি কাইয়ুম তা আজ বোঝার উপায় নেই। কেননা ও সকলের কাছে কাউম নামেই পরিচিত। কেউ কেউ অবশ্য কাউয়্যাম বলেও ডাকে। যা হোক বিকৃত অর্থের নামের মত ওর জীবনটাও বিকৃত। কতই বা বয়স হবে? ত্রিশ বছর? খুব বেশি হলেও পঁয়ত্রিশ বছর।
কাশীনাথপুর যাত্রী ছাউনীর বারান্দায় শুয়ে আছে কাউম। প্রতি রাতেই কাউমের প্রতীা আগামীকাল নিশ্চয়ই কিছু ভালো খাবার ডাস্টবিনে আসবে। যেমন গতকাল খুঁজতে খুঁজতে ভাই ভাই হোটেলের পাশের আবর্জনার মধ্যে আ¯Í একটা ভাল ডিম পেয়ে গিয়েছিল। ডিমের খোসা ঘাটতে ঘাটতে কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের মতই ডিমটা পেয়েছিল। তাছাড়া গতকাল ও ভাল একটাপরাটার অর্ধেকও পেয়েছিল। তবু ডিম পাওয়াটাই ওর কাছে বেশি খুশির ছিল। আর একটু পরে গেলে হয়তো হাসু পাগলীর পেটেই যেত ডিমটা। অবশ্য হাসু পাগলীকে দেখে ওর কেমন যেন মায়াও লাগে। ডিমটা হাতে নিয়ে ভাল করে ওর তেল চিটচিটে গন্ধযুক্ত ছেঁড়া লুঙ্গিতে মুছে নেয়। তারপর চারিদিকে তাকিয়ে দেখে বেশ কয়েকটা পাগলের মাঝে দাঁড়িয়ে হাসু পাগলীও হোটেলের দিকে চেয়ে আছে। কাউমের দয়ার শরীর। একটা আ¯Í ডিম পেয়েছে। ও তাই পরাটার টুকরোটুকু হাসুকে দিয়ে দেয়।
তখনও সূর্য ওঠেনি। রা¯Íা দিয়ে দুইএকজন লোক হেঁটে যাচ্ছে। ওদের কারো কারো মাথায় টুপি। মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে হয়তো ঘরে ফিরছে। কাউম আর দেরি করে না। দ্রুত উঠে পড়ে। ওকে নিখিল হোটেলের পিছনে যেতে হবে। এতণে বাসী খাবারগুলো হয়তো ফেলে দিয়েছে হোলে মালিক। কাউম নিখিলের দিকে পা বাড়ায়। গিয়ে অনেক কিছু পেয়ে যায়। বড় একটা কাগজে পরাটার টুকরো, কমলার আধ খাওয়া কোয়া, পাউরুটীর খণ্ড টুকরো ইত্যাদি বয়ে এনে কাশীনাথপুর ব্রীজের পাশে বসে খেয়ে নেয়। আজ ওর ভাগ্য ভালো। অনেকগুলো খাবার পেয়েছে। গতকাল পরাটার টুকরোটুকু হাসু পাগলেিক দিয়ে ওর কাছে খাবার কিছুই ছিল না। ছিল শুধু সেই ডিমটা। ওর মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছিল, তাইতো দোকানপাট খোলা হলে সেই ডিমটা বিক্রির জন্য একটি মুদির দোকানে দেখিয়েছিল। দোকানী ডিমটা দেখে শুনে চোরাই ডিম বলে ওর হাত থেকে কেড়ে নিতে গেলে ও দৌড়ে পালিয়ে এসেছিল। পরে একটা বুড়ো ডিম ক্রেতার কাছে এক টাকা বিক্রি করেছিল। টাকাটা জমানোর ইচ্ছে থাকলেও ুধার তাড়নায় ও একটা রুটি কিনে খেয়েছে।
প্রতিরাতের মত আজও কাউম যাত্রী ছাউনীর বারান্দায় শুয়ে আছে। সন্ধ্যেবেলা অবশ্য তেমন খিদে ছিল না ওর। কিন্তু এই মাঝরাতে কেমন যেন খিদে খিদে লাগছে। অবশ্য খিদে পাওয়া ওর কাছে নতুন কোন ব্যাপার না। বারান্দার ওপাশে বায়লাবুড়ি শুয়ে থাকে। মাঝে মাঝে বুড়িটা কাউমকে এটা ওটা খেতেও দেয়। বায়লার রোজগার ভালোই। ভিে করে। খাবারও পায়। খিদের প্রচণ্ডতায় কাউম বায়লাবুড়ির কাছে যায়। বুড়ি কাউমের মনোভাব বুঝতে পারে। খিদে লাগলেই ও বুড়ির কাছে হাত পাতে। মাঝে মাঝে যে বুড়ির এটা ওটা হাতিয়ে নেয় না, তাও নয়। বুড়ি আজ কাউমের উপস্থিতিতে রু² হয়ে ওঠে। কাশতে কাশতে কর্কশ কণ্ঠে বলতে থাকে- বুড়্যালব্দা, আমার কাছে কী? হাসু পাগলীর কাছে যা। এট্টা ভালো খাওয়ারতা পালি তো হাসুরে দিস। এহুন আমার কাছে কী? হে তোরে দ্যাহে না? আমি তোর কিডা? আমার কাছে আইচিস ক্যা? গালাগালী করলেও বুড়ির দয়ার শরীর। বালিশ হিসেবে ব্যবহৃত ছেঁড়া থলেটার ভিতর থেকে একটা আটার রুটি কাউমকে দেয়। কাউম খেতে খেতে ভাবে কাল যদি কোথাও ভাল খাবার পাওয়া যায়, তাহলে বুড়িকে এনে দেবে। অবশ্য এর আগেও কাউম এ অবস্থায় এ রকম ভেবেছে, কিন্তু বুড়িকে আজও কিছু দেওয়া হয়ে উঠেনি। আসলে উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনাহীন জীবনের সকল বৈশিষ্ট্য কাউমের মধ্যে বিদ্যমান। আজকের পরিকল্পনা মূহুর্তের ব্যবধানে তার কাছে অর্থহীন হয়ে পড়ে। সেজন্য আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাউকে কিছু দেয়া কাউমের পে সম্ভব হয় না।
সেদিনও হাসুর সঙ্গে দেখা করার কোন পরিকল্পনা কাউমের ছিল না। প্রাত্যাহিক কাজের অংশ হিসেবে সে নিখিল হোটেলের পিছনে আবর্জনা ঘাটতে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল পাউরুটি, মিষ্টি বা ডিমের কোন অংশ যদি খাদ্য হিসেবে পাওয়া যায়।
দুই.
সূর্য তখনও উঠেনি। তবে আলো ছায়ার একটা লুকোচুরি খেলা যেন পূর্ব দিগন্ত থেকে শুরু হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। কাউমের কাছে এই সময়টার মূল্য খুব বেশী। কারণ কুকুর বা কাকের উপদ্রব এখনও শুরু হয়নি। প্রায় প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন বিচরণ এখন তার। হাসু বা বায়লারা এলেও কাউম তাদের খুব বেশী মূল্য দেয় না। কাউকে সে প্রতিদ্বন্বিও মনে করে না। দিনের এই সময়টাতে আবর্জনার স্তুপে সেই সম্রাট। তাহলে কে তার সম্রাজ্ঞী? কাউম নিজের অজান্তে উচ্চস্বরে হেসে উঠে। হাসি তো নয় যেন হায়েনার চিৎকার। ভয়ার্ত কেউ তার পাশে নড়ে চড়ে উঠে। বাম পাশে চোখ ফেরায় কাউম। দুটো মানুষের ছায়া স্পষ্ট দেখতে পায় সে। তাদের একজন আরেকজনকে নিজের বুকের একেবারে গভীরে টেনে নিতে চাইছে। কিন্তু দ্বিতীয় জনের এ কাজে যেন ভীষণ আপত্তি। ফলে, ব্যবধান বাড়ছে দুজনের মধ্যে। কাউম চোখ দুটো বড় করে তাকায়। মানুষ দুটোর একজন যেন দৌড়ে তারই কাছে আসছে। লুঙ্গিতে চোখ দুটো পরিস্কার করে সে। সত্যিই একজন দ্রুত এগিয়ে আসছে তার দিকে। কাউম আরো ভাল করে তাকায়। এবার সে স্পষ্ট বুঝতে পারে তার কাছে এগিয়ে আসা মানুষ একটি মেয়ে। আর পিছনে যে তাকে ধাওয়া করছে সে অবশ্য পুরুষ। কাউম ভেবে অবাক হয় সেও তাহলে কোন মেয়ের একটা আশ্রয় হতে পারে। ইতোমধ্যে মেয়েটা তার পাশে এসে দাঁড়িয়ে হাপাচ্ছে। কাউম কী করবে ভেবে পায় না। মুহুর্তের মধ্যে মেয়েটা তাকে জড়িয়ে ধরে। এই প্রথম সে কোন নারীর স্পর্শ পেল। গোটা শরীরে যেন তার বিদ্যুৎ খেলে যায়। এই প্রথম সে টের পেল পুরুষের জীবনে মেয়েদের আলাদা একটা প্রয়োজন আছে। সেও মেয়েটাকে বুকের গভীরে টেনে নেয়। তারপর মুখটা চোখের সামনে তুলে ধরে দেখে মেয়েটা হাসু পাগলী। কাউম অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করে- হাসু তুই? হাসু কোন উত্তর দিতে পারে না। পিছনে ফিরে সে আঙ্গুল নির্দেশ করে দেখায়- একজন দ্রুত এগিয়ে আসছে। সে হাসুকে পেতে চায়। কিন্তু তাকে হাসুর খুব অপছন্দ। সে তাই দৌড়ে এসেছে কাউমের কাছে নিরাপদ একটা আশ্রয় যদি পাওয়া যায়। কাউম পেছন ফিরে তাকায়। কাশীনাথপুরের স্থানীয় জোয়ান পাগল জাফরকে দেখতে পায়। জাফর খুব নিকটে পৌঁছে গেছে। কাউম কি তার ছোবল থেকে হাসুকে রা করতে পারবে? মুহুর্তে সে কী যেন ভাবে। তারপর হাসুকে টানতে টানতে সে রা¯Íার দিকে দৌড়ায়। হাসুও পা বাড়ায় কাউমের সঙ্গে। কে জানে পৃথিবীর আদিম মানব মানবীর পথ চলা ঠিক এভাবে শুরু হয়েছিল কিনা। তবে সেইদিন থেকে কাউম আর হাসু পাগলীকে আর কাশীনাথপুরের কোথাও দেখা যায়নি কোনদিন
আলাউল হোসেন
ভোরের আলো আঙিনায় আসার সাথে সাথে অনেকেরই মনে নতুন কোন প্রাপ্তির প্রত্যাশায় পূলক লাগে। গতকাল কিংবা গতরাতের মধুর কোন স্মৃাত নতুন দিনের শুরুতে আর একবার কারো মনে পড়লে পুলকের রেশটুকু ধরে শুধু শুরু হয় নতুন দিনের যাত্রা। এরকম পুলক ওর মনেও লাগে প্রতিদিন সকালে। ওর নাম কাউম। ওর পুরো নাম কাউম কি কাইয়ুম তা আজ বোঝার উপায় নেই। কেননা ও সকলের কাছে কাউম নামেই পরিচিত। কেউ কেউ অবশ্য কাউয়্যাম বলেও ডাকে। যা হোক বিকৃত অর্থের নামের মত ওর জীবনটাও বিকৃত। কতই বা বয়স হবে? ত্রিশ বছর? খুব বেশি হলেও পঁয়ত্রিশ বছর।
কাশীনাথপুর যাত্রী ছাউনীর বারান্দায় শুয়ে আছে কাউম। প্রতি রাতেই কাউমের প্রতীা আগামীকাল নিশ্চয়ই কিছু ভালো খাবার ডাস্টবিনে আসবে। যেমন গতকাল খুঁজতে খুঁজতে ভাই ভাই হোটেলের পাশের আবর্জনার মধ্যে আ¯Í একটা ভাল ডিম পেয়ে গিয়েছিল। ডিমের খোসা ঘাটতে ঘাটতে কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের মতই ডিমটা পেয়েছিল। তাছাড়া গতকাল ও ভাল একটাপরাটার অর্ধেকও পেয়েছিল। তবু ডিম পাওয়াটাই ওর কাছে বেশি খুশির ছিল। আর একটু পরে গেলে হয়তো হাসু পাগলীর পেটেই যেত ডিমটা। অবশ্য হাসু পাগলীকে দেখে ওর কেমন যেন মায়াও লাগে। ডিমটা হাতে নিয়ে ভাল করে ওর তেল চিটচিটে গন্ধযুক্ত ছেঁড়া লুঙ্গিতে মুছে নেয়। তারপর চারিদিকে তাকিয়ে দেখে বেশ কয়েকটা পাগলের মাঝে দাঁড়িয়ে হাসু পাগলীও হোটেলের দিকে চেয়ে আছে। কাউমের দয়ার শরীর। একটা আ¯Í ডিম পেয়েছে। ও তাই পরাটার টুকরোটুকু হাসুকে দিয়ে দেয়।
তখনও সূর্য ওঠেনি। রা¯Íা দিয়ে দুইএকজন লোক হেঁটে যাচ্ছে। ওদের কারো কারো মাথায় টুপি। মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে হয়তো ঘরে ফিরছে। কাউম আর দেরি করে না। দ্রুত উঠে পড়ে। ওকে নিখিল হোটেলের পিছনে যেতে হবে। এতণে বাসী খাবারগুলো হয়তো ফেলে দিয়েছে হোলে মালিক। কাউম নিখিলের দিকে পা বাড়ায়। গিয়ে অনেক কিছু পেয়ে যায়। বড় একটা কাগজে পরাটার টুকরো, কমলার আধ খাওয়া কোয়া, পাউরুটীর খণ্ড টুকরো ইত্যাদি বয়ে এনে কাশীনাথপুর ব্রীজের পাশে বসে খেয়ে নেয়। আজ ওর ভাগ্য ভালো। অনেকগুলো খাবার পেয়েছে। গতকাল পরাটার টুকরোটুকু হাসু পাগলেিক দিয়ে ওর কাছে খাবার কিছুই ছিল না। ছিল শুধু সেই ডিমটা। ওর মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছিল, তাইতো দোকানপাট খোলা হলে সেই ডিমটা বিক্রির জন্য একটি মুদির দোকানে দেখিয়েছিল। দোকানী ডিমটা দেখে শুনে চোরাই ডিম বলে ওর হাত থেকে কেড়ে নিতে গেলে ও দৌড়ে পালিয়ে এসেছিল। পরে একটা বুড়ো ডিম ক্রেতার কাছে এক টাকা বিক্রি করেছিল। টাকাটা জমানোর ইচ্ছে থাকলেও ুধার তাড়নায় ও একটা রুটি কিনে খেয়েছে।
প্রতিরাতের মত আজও কাউম যাত্রী ছাউনীর বারান্দায় শুয়ে আছে। সন্ধ্যেবেলা অবশ্য তেমন খিদে ছিল না ওর। কিন্তু এই মাঝরাতে কেমন যেন খিদে খিদে লাগছে। অবশ্য খিদে পাওয়া ওর কাছে নতুন কোন ব্যাপার না। বারান্দার ওপাশে বায়লাবুড়ি শুয়ে থাকে। মাঝে মাঝে বুড়িটা কাউমকে এটা ওটা খেতেও দেয়। বায়লার রোজগার ভালোই। ভিে করে। খাবারও পায়। খিদের প্রচণ্ডতায় কাউম বায়লাবুড়ির কাছে যায়। বুড়ি কাউমের মনোভাব বুঝতে পারে। খিদে লাগলেই ও বুড়ির কাছে হাত পাতে। মাঝে মাঝে যে বুড়ির এটা ওটা হাতিয়ে নেয় না, তাও নয়। বুড়ি আজ কাউমের উপস্থিতিতে রু² হয়ে ওঠে। কাশতে কাশতে কর্কশ কণ্ঠে বলতে থাকে- বুড়্যালব্দা, আমার কাছে কী? হাসু পাগলীর কাছে যা। এট্টা ভালো খাওয়ারতা পালি তো হাসুরে দিস। এহুন আমার কাছে কী? হে তোরে দ্যাহে না? আমি তোর কিডা? আমার কাছে আইচিস ক্যা? গালাগালী করলেও বুড়ির দয়ার শরীর। বালিশ হিসেবে ব্যবহৃত ছেঁড়া থলেটার ভিতর থেকে একটা আটার রুটি কাউমকে দেয়। কাউম খেতে খেতে ভাবে কাল যদি কোথাও ভাল খাবার পাওয়া যায়, তাহলে বুড়িকে এনে দেবে। অবশ্য এর আগেও কাউম এ অবস্থায় এ রকম ভেবেছে, কিন্তু বুড়িকে আজও কিছু দেওয়া হয়ে উঠেনি। আসলে উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনাহীন জীবনের সকল বৈশিষ্ট্য কাউমের মধ্যে বিদ্যমান। আজকের পরিকল্পনা মূহুর্তের ব্যবধানে তার কাছে অর্থহীন হয়ে পড়ে। সেজন্য আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাউকে কিছু দেয়া কাউমের পে সম্ভব হয় না।
সেদিনও হাসুর সঙ্গে দেখা করার কোন পরিকল্পনা কাউমের ছিল না। প্রাত্যাহিক কাজের অংশ হিসেবে সে নিখিল হোটেলের পিছনে আবর্জনা ঘাটতে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল পাউরুটি, মিষ্টি বা ডিমের কোন অংশ যদি খাদ্য হিসেবে পাওয়া যায়।
দুই.
সূর্য তখনও উঠেনি। তবে আলো ছায়ার একটা লুকোচুরি খেলা যেন পূর্ব দিগন্ত থেকে শুরু হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। কাউমের কাছে এই সময়টার মূল্য খুব বেশী। কারণ কুকুর বা কাকের উপদ্রব এখনও শুরু হয়নি। প্রায় প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন বিচরণ এখন তার। হাসু বা বায়লারা এলেও কাউম তাদের খুব বেশী মূল্য দেয় না। কাউকে সে প্রতিদ্বন্বিও মনে করে না। দিনের এই সময়টাতে আবর্জনার স্তুপে সেই সম্রাট। তাহলে কে তার সম্রাজ্ঞী? কাউম নিজের অজান্তে উচ্চস্বরে হেসে উঠে। হাসি তো নয় যেন হায়েনার চিৎকার। ভয়ার্ত কেউ তার পাশে নড়ে চড়ে উঠে। বাম পাশে চোখ ফেরায় কাউম। দুটো মানুষের ছায়া স্পষ্ট দেখতে পায় সে। তাদের একজন আরেকজনকে নিজের বুকের একেবারে গভীরে টেনে নিতে চাইছে। কিন্তু দ্বিতীয় জনের এ কাজে যেন ভীষণ আপত্তি। ফলে, ব্যবধান বাড়ছে দুজনের মধ্যে। কাউম চোখ দুটো বড় করে তাকায়। মানুষ দুটোর একজন যেন দৌড়ে তারই কাছে আসছে। লুঙ্গিতে চোখ দুটো পরিস্কার করে সে। সত্যিই একজন দ্রুত এগিয়ে আসছে তার দিকে। কাউম আরো ভাল করে তাকায়। এবার সে স্পষ্ট বুঝতে পারে তার কাছে এগিয়ে আসা মানুষ একটি মেয়ে। আর পিছনে যে তাকে ধাওয়া করছে সে অবশ্য পুরুষ। কাউম ভেবে অবাক হয় সেও তাহলে কোন মেয়ের একটা আশ্রয় হতে পারে। ইতোমধ্যে মেয়েটা তার পাশে এসে দাঁড়িয়ে হাপাচ্ছে। কাউম কী করবে ভেবে পায় না। মুহুর্তের মধ্যে মেয়েটা তাকে জড়িয়ে ধরে। এই প্রথম সে কোন নারীর স্পর্শ পেল। গোটা শরীরে যেন তার বিদ্যুৎ খেলে যায়। এই প্রথম সে টের পেল পুরুষের জীবনে মেয়েদের আলাদা একটা প্রয়োজন আছে। সেও মেয়েটাকে বুকের গভীরে টেনে নেয়। তারপর মুখটা চোখের সামনে তুলে ধরে দেখে মেয়েটা হাসু পাগলী। কাউম অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করে- হাসু তুই? হাসু কোন উত্তর দিতে পারে না। পিছনে ফিরে সে আঙ্গুল নির্দেশ করে দেখায়- একজন দ্রুত এগিয়ে আসছে। সে হাসুকে পেতে চায়। কিন্তু তাকে হাসুর খুব অপছন্দ। সে তাই দৌড়ে এসেছে কাউমের কাছে নিরাপদ একটা আশ্রয় যদি পাওয়া যায়। কাউম পেছন ফিরে তাকায়। কাশীনাথপুরের স্থানীয় জোয়ান পাগল জাফরকে দেখতে পায়। জাফর খুব নিকটে পৌঁছে গেছে। কাউম কি তার ছোবল থেকে হাসুকে রা করতে পারবে? মুহুর্তে সে কী যেন ভাবে। তারপর হাসুকে টানতে টানতে সে রা¯Íার দিকে দৌড়ায়। হাসুও পা বাড়ায় কাউমের সঙ্গে। কে জানে পৃথিবীর আদিম মানব মানবীর পথ চলা ঠিক এভাবে শুরু হয়েছিল কিনা। তবে সেইদিন থেকে কাউম আর হাসু পাগলীকে আর কাশীনাথপুরের কোথাও দেখা যায়নি কোনদিন
Subscribe to:
Posts (Atom)