গত ৩ এপ্রিল বিকেল ৪ টায় পাবনা জেলার কাশীনাথপুরস্থ শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল সোস্যাইটি ও স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের যৌথ উদ্যোগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ১০০ ঘণ্টা (আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ ২০০৯ উদযাপনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প) উদযাপিত হয়। এ উপলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এফ. আর সরকার (শূন্য অভিকর্ষ ত্বরণে অভিজ্ঞতা অর্জনকারী একমাত্র বাংলাদেশি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আলী আজগর, কৃষি বিজ্ঞানী ড. ফরিদা বেগম ও হাসিনা রহমান সরকার।
ঐ দিন বিকেল ৪ টা থেকে শুরু হয় ওয়াটার রকেট উৎপেণ, চিত্র প্রদর্শন, প্রশ্নোত্তর পর্ব, আলোচনা সভা । প্রশ্নোত্তর পর্বে শিার্থীদের আকাশ সম্পর্কিত মজার মজার প্রশ্নের জবাব দেন ড. আলী আজগর ও এফ. আর সরকার। সন্ধ্যার পরে টেলিস্কোপের সাহায্যে উপস্থিত দর্শকদের আকাশ পর্যবেণ করানো হয় এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিার্থী ও কৌতুহলী জনতা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ওয়াটার রকেট উৎপেণসহ আকাশ পর্যবেণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৬০৯ সালে ইতালীর প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালেলিও গ্যালিলি কর্তৃক টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্ব পর্যবেণের ৪০০ বছর পূর্তি উপলে ও সারা বিশ্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার ল্েয জাতিসংঘ ২০০৯ সনকে ‘আন্তর্জাতিক জ্যোতিবিজ্ঞান বর্ষ’০৯ হিসেবে ঘোষণা করেন। জাতিসংঘের শিা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ ‘টঘঊঝঈঙ’ ও ‘আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা’ যৌথভাবে এটি বর্ষব্যাপী উদ্যাপনের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই উদ্যাপনের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘মহাবিশ্ব আপনার আবিষ্কারের জন্য’। বিশ্বের প্রায় ১৩৬টি রাষ্ট্র ও ৩২টি আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংগঠন এই উদ্যাপনে সদস্য হয়েছ, এছাড়া উদ্যাপন কার্যক্রমকে আরো ফলপ্রসূ করতে ১১টি মহাকাশ সংগঠনের নিজস্ব প্রকল্প, ১১টি টাস্ক গ্র“প ও ৬টি বিশেষ প্রকল্প পুরো জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ উদ্যাপনের সাথে সহায়ক কার্যক্রম হিসেবে কাজ করছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)